'কারাগার ২' গল্পে নয়, পারফরম্যান্স বিচারে সেরা
'কারাগার ২' অনেকের প্রত্যাশা হয়তো পূরণ করতে পারে নি কিন্তু পারফরম্যান্স বিচারে বছরের সেরা কনটেন্ট আমার বিচারে এটাই। প্রথম পার্ট অনেকটাই চঞ্চল, নাঈম, দিনার, সেতু, ফারিণে সীমাবদ্ধ থাকলেও দ্বিতীয় পার্টে অভিনয়ের ব্যপ্তি ছড়িয়েছে জিসান, সরকার রওনক, সুমি, দিব্যদের অভিনয়ে।
'কারাগার ২' অনেকের প্রত্যাশা হয়তো পূরণ করতে পারে নি কিন্তু পারফরম্যান্স বিচারে বছরের সেরা কনটেন্ট আমার বিচারে এটাই। প্রথম পার্ট অনেকটাই চঞ্চল, নাঈম, দিনার, সেতু, ফারিণে সীমাবদ্ধ থাকলেও দ্বিতীয় পার্টে অভিনয়ের ব্যপ্তি ছড়িয়েছে জিসান, সরকার রওনক, সুমি, দিব্যদের অভিনয়ে। সাপোর্টিং কাস্ট হিসাবে শতাব্দী, সুইটি, রিজভীরাও বেশ ভাল করেছেন।
চঞ্চল এই পার্টের কিছু দৃশ্যে স্টেলার পারফরম্যান্স দিয়েছেন। কারাগারে যখন মায়ের মৃত্যুর খবর পায়, তার বাবা তার সেলে আসে পালানোর জন্য কিংবা যখন বাবাকে সে ফাঁসি দেয় - সেখানে তার এক্সপ্রেশন, বিরাগ কিংবা বাচন অসাধারণ মনে হয়েছে।এছাড়া মীর নওফেল জিসানের অভিনয় নজর কেড়েছে। 'মিশন এক্সট্রিম' এ তাকে অল্পসময় তাকে দেখে বেশ সম্ভাবনাময় লেগেছিলো। কারাগারে যেন তার সর্বোচ্চটা দিয়ে আলো কেড়ে নিয়েছেন। জিসান যখনই স্ক্রিনে এসেছে তখনই চার্মিং লেগেছে। কারাগারে হল্লা লাগার দৃশ্যে জিসানের অভিনয় দেখার মত ছিল।
সরকার রওনক রিপন জেলের পুলিশ ক্যারেক্টারে বেশ রাফ এন্ড টাফ এক্টিং করেছেন। তার ডায়লগ ডেলিভারি ও এক্সপ্রেশনে ন্যাচারাল এন্টি ক্যারেক্টারের ছাপ স্পষ্ট। বিশেষ করে কয়েদিদের সাথে তার ফেস অফ সিন দেখার মত ছিলো। এর আগে বায়োস্কোপের সিরিজ 'টেক্কা'তেও তাকে ভাল লেগেছিলো।
ভাল করেছেন সাহানা রহমান সুমি। তিনি অনেক আগে থেকেই কাজ করছেন এবং নিয়মিত ভাল অভিনয় করেন তবে সেই তুলনায় তাকে দেখা যায় কম। এখানে চঞ্চলের তরুন বয়সে যখন সে মা কে খুঁজতে যায়, তখন দেখা হয় খালার সাথে। মানসিকভাবে দুর্দশায় পতিত বোনের ছেলেকে কাছে পেয়ে তার চরিত্রে যে হাহাকার দেখা গেছে, তা অতুলনীয়। চঞ্চলের তরুন বয়সের চরিত্র ডেভিড হিসাবে দিব্যও বেশ ভাল করেছে।
এই পার্টে তুলনামূলক কম পাওয়া গেছে এ কে আজাদ সেতুকেও। তবে কয়েকটি সিনেও তিনি তার পারফরম্যান্স ধারা ভালোর দিকেই রেখেছেন। শীঘ্রই হয়তো আমরা এসব আন্ডাররেটেড দারুন শিল্পীদের আরো কাজ দেখবো।
What's Your Reaction?